রাজধানীর কলাবাগানের আলোচিত তেঁতুলতলা মাঠকে নিজের বাড়ির জমি বলে দাবি করেছেন বিলকিস বানু নামে এক নারী। তাঁর দাবি, ২০১৫ সাল পর্যন্ত এখানে তাঁর বাড়ি ছিল, পরে ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এখনো মাঠের এক পাশে তাঁর বাড়ির একাংশ রয়ে গেছে বলে জানান তিনি।
মাঝখানে করোনার দুই বছর বাদ ছিল। কিন্তু গত ৫০ বছর ধরে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়ে আসছিল রাজধানীর কলাবাগান তেঁতুলতলা মাঠে। এবারও তাই হলো। কিন্তু এলাকাবাসীর মনে রয়ে গেছে সপ্তাহ আগে ঘটে যাওয়া ঘটনার ক্ষত। তাই এই মাঠে আপাতত থানা ভবন নির্মাণকাজ বন্ধ হলেও এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান চাইলেন এলাকাবাসী। পূর্ব ঘোষণা অনু
এলাকাবাসীর তীব্র প্রতিবাদ আর বিরোধিতা উপেক্ষা করে রাজধানীর কলাবাগানের তেঁতুলতলা মাঠে নির্মাণ করা হচ্ছিল থানা ভবন। ভবন নির্মাণের কাজ বন্ধ হওয়ায় সেখানে আজ চলছে ঈদ জামাতের জন্য সর্বশেষ প্রস্তুতি।
এভাবে কোনো শিশুকে গ্রেপ্তার ও আটক করা বেআইনি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা মোতাবেক কাউকে গ্রেপ্তার করলে তার নিকটের আত্মীয়স্বজনকে জানাতে হবে। কিন্তু কলাবাগান থানা রত্নাকে আটকের পর তাঁর শিশুসন্তানকে আটক করে।
তেঁতুলতলা মাঠের মালিকানায় কলাবাগান থানা পুলিশ থাকলেও আপাতত সেখানে থানাভবন নির্মাণ হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এলাকাবাসীর ব্যবহারের জন্য মাঠটি উন্মুক্ত থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী...
এলাকাবাসীর আন্দোলন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আশ্বাস আর পরিবেশবাদী ও নাগরিক সংগঠনসমূহের আপত্তি সত্ত্বেও তেঁতুলতলা মাঠে দেয়াল নির্মাণকাজ শেষ করেছে পুলিশ। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কলাবাগান থানার স্থায়ী ভবন নির্মাণের উদ্দেশে এ দেয়াল তুলেছে পুলিশ।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, ‘তেঁতুলতলার স্থানটি কখনোই মাঠ ছিল না।’ তিনি বলেন, আবাসিক এলাকায় ১ বিঘার মতো ওই জমিটি পরিত্যক্ত ছিল, তা এখন পুলিশের সম্পত্তি। আজ বুধবার মাঠ রক্ষা আন্দোলনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল তেঁতুলতলা মাঠে থানা নির্মাণ না করে শিশুদের জন্য উন্মুক্ত রাখার ব্যাপারে আশাবাদী বলে জানিয়েছেন স্থপতি ইকবাল হাবীব এবং বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ নির্বাহী পরিচালক সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান
যুক্তরাজ্য ভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা আর্টিকেল নাইনটিন কলাবাগানের তেঁতুলতলা মাঠ রক্ষার দাবিতে আন্দোলনকারী সৈয়দা রত্না ও তাঁর কিশোর ছেলেকে পুলিশ কর্তৃক বেআইনি আটক, হয়রানির ও মুচলেকা নেওয়ার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে...
জেলা প্রশাসক জমির ক্ষতিপূরণ মূল্য বাবদ ডিএমপি কমিশনার ঢাকা ২৭ কোটি ৫৪ লাখ ৪১ হাজার ৭১০ টাকার প্রাক্কলন করেন, এরপর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ব্যয় মঞ্জুরি পাওয়ার পর চেকের মাধ্যমে সেই টাকা পরিশোধ করা হয়।